খিল
সাথী দাস
দশম পর্ব
দুপুর দেড়টার সময় অঙ্কন ও উত্তরার সঙ্গে এক শহুরে রেঁস্তোরায় মধ্যাহ্নভোজন সেরে আবার গাড়িতে বসে যখন আহ্লাদী আবাসনে পৌঁছল, তখন ওর সর্বাঙ্গ ধুলোয় কিচকিচ করছে। স্নান করার জন্য আহ্লাদী মনে মনে উতলা হয়ে পড়লেও, বাইরে তা প্রকাশ করল না। গাড়িটা গতি কমিয়ে পার্কিংয়ের জন্য নির্ধারিত স্থানে ঢুকে পড়ল। একটা ব্যাগ আহ্লাদীর হাতে ধরিয়ে নিজে একটা ট্রলি টেনে উত্তরা বকবক করতে করতে এগিয়ে গেল লিফটের দিকে। উত্তরার অনর্গল কথাবার্তায় আহ্লাদী তেমন উৎসাহ না দেখালেও, নীরব শ্রোতা হিসেবে ওর মন্দ লাগছিল না। লিফটের দরজা খুলতেই উত্তরা হাসিমুখে বলল,
-সেনদা! ভালো আছেন? জ্যেঠু কেমন আছেন?
অঙ্কন পিঠে ও হাতে ব্যাগ নিয়ে পৌঁছেছিল লিফটের কাছে। নেহাৎ প্রতিবেশী না হলেও একই আবাসনের বাসিন্দা হওয়ার সূত্রে সেন পরিবারের সঙ্গে অঙ্কন ও উত্তরার বেশ ঘনিষ্ঠতা আছে। সর্বোপরি উত্তরার বাবা এবং অমিতাভ সেন একই অফিসে কর্মরত হওয়ায় দীর্ঘকালীন পরিচয়ে দুই পরিবারের মধ্যে বেশ হৃদ্যতা বর্তমান। অমিতাভ বাবু ও তার জ্যেষ্ঠ পুত্র অমিয় কয়েক মাস আগে এই আবাসনে মুখোমুখি দুটো ফ্ল্যাট কিনে ভাড়াবাড়ির মায়া কাটিয়ে উঠে এসেছেন নিজ আলয়ে।
অমিতাভ সেনের জ্যেষ্ঠ পুত্র অমিয় সেন এবং সর্বকনিষ্ঠ পুত্র আর্য সেনকে দেখে উত্তরা দাঁড়িয়ে পড়েছিল। লিফটের দরজা খোলার পর হঠাৎই উত্তরাকে দেখে খানিক চমকে উঠে অমিয় বলল,
-আরে উত্তরা যে! এই ফিরলে?
-হ্যাঁ দাদা।
-আচ্ছা আচ্ছা। বাবা ভালো আছেন। মাঝে সুগারটা হাই হওয়াতে শরীর খারাপ হয়েছিল, এখন স্টেবল। এবার তোমাদের একটু বেশি ছুটি হয়ে গেল মনে হয়। ঠিক বললাম তো অঙ্কন?
অঙ্কন এগিয়ে এসে অমিয়র সঙ্গে হাত মিলিয়ে বলল,
-হ্যাঁ দাদা। এবার বাড়িতে কিছু কাজ ছিল। বেশিদিনের জন্য আটকে পড়েছিলাম।
-বোনের দেখাশোনার জন্য যাবে বলেছিলে। তা বিয়ের কথাবার্তা কিছু এগোল? বাড়িতে বিয়ে লাগলে বাড়ির ছেলের দায়িত্বও কিছু কম নয়...
আহ্লাদী মাথা নামিয়ে চুপ করে দাঁড়িয়ে রইল। উত্তরা ভাবলেশহীন। অঙ্কন একটু ইতস্ততঃ করে বলল,
-এখনো কিছু ফাইনাল হয়নি। ওরা দেখে গেছে। ছেলের বাড়ি থেকে জানাবে বলেছে...
অঙ্কনের ইচ্ছাকৃত মিথ্যের প্রভাবে যে বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হল, তা উত্তরার কাছে ক্রমে অসহ্য হয়ে উঠল। ও নির্লিপ্ত কণ্ঠে বলে দিল,
-দাদা আমাদের বাড়ি থেকেও ছেলেকে তেমন পছন্দ নয়। তারা হ্যাঁ বললেও, আমরা এগোব না। আমাদের দিক থেকে ও সম্বন্ধ একরকম ভেঙে গেছে বলা যায়। আমরা ওসব ব্যাপারেই আটকে গিয়েছিলাম।
উন্মুক্ত লিফট অঙ্কনদের জন্য অপেক্ষা করলেও, প্রতিবেশীর সঙ্গে কিঞ্চিৎ সৌজন্য বিনিময়ের স্বার্থে অঙ্কন দাঁড়িয়ে পড়ল। সামনে দাঁড়িয়ে থাকা আহ্লাদীকে সাক্ষী রেখে তারই বিয়ের প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনা করাটা যেন বড় বেমানান ও অস্বস্তিকর। বিয়ের প্রসঙ্গ থেকে রেহাই পেতে আর্যর দিকে চেয়ে অঙ্কন জিজ্ঞাসা করল,
-কলেজে যাচ্ছ আর্য?
-হ্যাঁ অঙ্কনদা, এই বেরোচ্ছি। দাদা আজ অফিস যাওয়ার সময় ড্রপ করে দেবে বলল।
-তোমরা প্লিজ ওপরে যাও। ফ্রেশ হয়ে রেস্ট নাও। ভীষণ টায়ার্ড লাগছে তোমাদের।
-হ্যাঁ সেনদা। আজ অনেক ভোরে উঠেছি, তারপর আবার এতটা পথ ড্রাইভ করে আসা.... শরীর সত্যিই আর চলছে না। আজকের দিনটা রেস্ট নিয়ে ধকল সামলে কাল থেকে আবার গলায় দড়ি ঝুলিয়ে অফিস শুরু...
-গলায় দড়ি! হা হা হা! তা বেশ বলেছ। কর্পোরেট সেক্টরগুলোর যা অবস্থা, গলায় দড়িই বটে! আচ্ছা এই মেয়েটিকে তো ঠিক...
-সেনদা ও আমার ননদ, আ... মণিকঙ্কনা।
অঙ্কনের ভ্রূ কুঁচকে গেল। আহ্লাদীর যে এমন একটি বাহারি নাম আছে, তা বিস্মৃতির অতলে তলিয়ে গিয়েছিল বহুকাল আগে। উত্তরার মুখ থেকে হঠাৎ ঐ নাম শুনে হকচকিয়ে গেল অঙ্কন। চিরাচরিত চেনা নামটা বদলে যেতেই কেমন যেন অদ্ভুত ঠেকল অঙ্কনের কানে। কিন্তু ও কিছু বলল না। অমিয় কণ্ঠে একরাশ বিস্ময় এঁকে বলল,
-তোমার ননদ! মানে এই মেয়েরই বিয়ের কথা চলছিল?
-হ্যাঁ দাদা। এরই বিয়ের কথা চলছিল, এরই সম্বন্ধ ভেঙে গেছে বলতে পারেন। আমরা ঐ সম্বন্ধে রাজি নই।
সামান্য সময়ের ব্যবধানে বুকে ব্যাগ আঁকড়ে মাথা নামিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা মেয়েটির দিকে বারকয়েক আড়চোখে চেয়েছিল কলেজ পড়ুয়া আর্য। এখন বিয়ে ভাঙার প্রসঙ্গ কানে যেতেই চমৎকৃত হয়ে আহ্লাদীর দিকে একবার স্পষ্টভাবে চাইল সে।
মেয়েটির পরনের আকাশনীল চুড়িদারের ওপর সাদা সুতোর অভিনব নকশা বেশ অর্থ ও আভিজাত্যের চিহ্ন বহন করে। তবে তার দৈহিক ভাষায় কেমন যেন গ্রাম্য ছাপ সুস্পষ্ট। কতই বা বয়স হবে মেয়েটির! সতেরো? বড়জোর আঠেরো! এর বেশি হবে না বোধহয়। মেয়েটিকে প্রায় আর্যরই সমবয়সী বলা চলে। আর্য বুঝতে পারল না, এত তাড়াতাড়ি একটি মেয়ের বিয়ের কথা তার পরিবার কিভাবে ভাবতে পারে! তাও আবার অঙ্কন দাদার মতো উদার স্বাধীনচেতা মুক্তমনা মানুষের পরিবার! এর মধ্যে বিয়ে ঠিক হয়ে আবার ভেঙেও গেছে! আর্যর ভাবনার মাঝে অঙ্কনের থেকে বিদায় নিয়ে অমিয় এগিয়ে গেছে পার্কিংয়ের দিকে। অগত্যা আর্যকেও দৃষ্টিসুখের মায়া কাটিয়ে এগোতে হল।
ঘরের চার দেওয়ালের বাইরে পরস্পরের প্রতি নূন্যতম সম্মান দেখিয়ে যথেষ্ট সদ্ভাব বজায় রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করলেও, অঙ্কন জানে পারিবারিক অশান্তিকে কেন্দ্র করে দাম্পত্য জীবনের ছন্দপতন হয়েছে। যদিও চার দেওয়ালের বাইরে কেউ তা বিন্দুমাত্র জানে না। কেবল অঙ্কনই জানে লোকচক্ষু থেকে আড়াল করে রাখা উত্তরার ব্যক্তিত্ব কতখানি সত্যি, আর প্রকাশ্যে সত্যি হিসেবে সাজিয়ে রাখা গাম্ভীর্য কতখানি ঠুনকো। প্রিয় মানুষের সবটা জেনে গেলে বোঝা যায়, সে সম্পূর্ণ সত্যি নয়। তার অভিব্যক্তি খানিক মেকি, খানিক নিছকই অভিনয়। তবে সান্ত্বনা কেবল একটাই, মানুষটা তার কাছে নিজেকে লুকিয়ে রাখেনি। সর্বাঙ্গীনভাবে উন্মুক্ত করেছে। সেই কারণে অঙ্কন সহজে উত্তরার মনের তল পেতে পারে।
অস্থায়ী বিবাদের কারণে দাম্পত্য আলাপের মাঝে যে অভিমান স্থান পেয়েছে, সেই সকল দূরত্ব ঘুচিয়ে নিতে অঙ্কন মরিয়া হয়ে উঠেছে। কিন্তু গ্রামের বাড়িতে সে সুযোগ তেমনভাবে না থাকায় আজকের রাতটা ওর কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। সমস্ত দিন কোনোক্রমে কাটানোর পর রাতে যখন উন্মুক্ত কেশবিন্যাস ও রাত্রিকালীন রূপচর্চা সেরে উত্তরা বালিশ নিয়ে পাশের ঘরে যাওয়ার উদ্যোগ নিল, একলাফে বিছানা ছেড়ে উঠে এসে অঙ্কন বলল,
-ব্যাপার কী? গুছিয়ে বালিশ চাদর সব বগলে চেপে কোথায় চললে তুমি?
-ও ঘরে শুতে যাচ্ছি। নতুন জায়গা। আহ্লাদীর ঘুম আসবে না। অভ্যাস হতে দু-একদিন সময় লাগবে। ওখানে মায়ের সঙ্গে ঘুমাত। এখানে প্রথম কয়েকটা দিন আমার সঙ্গে...
ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ করে অঙ্কন বলল,
-ও বাচ্চা মেয়ে নয়, যে একা শুতে ভয় পাবে। তাছাড়া তুমি কেন ও ঘরে যেতে চাইছ, আমি খুব জানি।
-জানো যখন এত রাতে সময় নষ্ট করার কোনও দরকার নেই। সরো। আমার ঘুম পাচ্ছে। কাল অফিস আছে। ঘুম কমপ্লিট না হলে প্রবলেম হবে।
উত্তরার হাত থেকে বালিশটা কেড়ে নিয়ে অঙ্কন বলল,
-আমার সঙ্গে কেন এইরকম করছ? বড়দা তোমার গায়ে হাত তুলতে গেছে, বড় বৌদি তোমাকে এত কথা শুনিয়েছে, সবকিছুর জন্য আমি তোমার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছি। আর কী করব?
-আমাকে ঘুমাতে দেবে।
-দেব না।
-ধুর.... এ তো মহাজ্বালা!
বিছানায় ঝাঁপিয়ে শুয়ে চাদরের তলায় হারিয়ে গেল উত্তরা। অঙ্কন নিশ্চিন্ত হয়ে ঘরের আলো নিভিয়ে চাদর নিয়ে বেশ কিছুক্ষণ টানাটানি করার পর খানিকটা চাদরের ভাগ পেল। অভিমানে শক্ত হয়ে থাকা উত্তরাকে জড়িয়ে ধরে ওর মাথায় হাত রেখে বলল,
-বাবা-মাকে জানালে তোমার শান্তি হবে? তবে তাই জানাও। তাঁদের কাছেও আমি ক্ষমা চেয়ে নেব।
-সেদিন তো খুব বলছিলে, দাদার কাছে ক্ষমা চেয়ে নাও। এখন নিজে ক্ষমা চাওয়ার জন্য মরিয়া কেন? প্রয়োজনের সময় যদি বৌয়ের পাশে দাঁড়াতেই না পারো, বদ্ধ ঘরে ঐরকম শুকনো ভালোবাসা দিয়ে উত্তরার মনের চিঁড়ে ভিজবে না।
-তুমিও আমার, বাড়ির লোকও আমার। কাকে কী বলি বলো তো? বড়দার মুখের দিকে চেয়ে আমি কোনোদিন কথা বলিনি। সবসময় মাথা নামিয়ে কথা বলি। তার মুখের ওপর কথা বলব? সেখানেও সবাই তোমাকে দোষ দেবে। বলবে, বিয়ের পর আমার এমন অধঃপতন হয়েছে। সেটা শুনতে আমার ভালো লাগবে না।
-তাই তো! সেই জন্য বাইরে ভারী পুরুষ সিংহ সেজে বৌকে ক্ষমা চাইতে ব'লে, ঘরের ভিতরে এসে নিজে ক্ষমা চেয়ে উদ্ধার করছ আমাকে। সরে যাও। ঘুমোতে দাও।
-ঠিক আছে। তুমি আমাকে ক্ষমা করবে না তো? তবে বাবা-মাকে ডাকো। তাঁদের মেয়ের অপমানের জন্য আমি না হয় তাঁদের কাছেই...
-কোথায় কোন কথা বলতে হয়, আর কোন কথা হজম করতে হয়, সে আমি খুব জানি। খুব বুঝি...
-কিচ্ছু জানো না, বোঝো না। সব একা হজম করতে চেয়ে তোমার বদহজম হয়ে গেছে। সেদিন থেকে কথা বন্ধ করে দিয়েছ। মুখে যেন অমাবস্যার অন্ধকার নেমে এসেছে। সংসারের সবার সঙ্গে এত খাতির, এত হেসে হেসে গল্প, কেবল আমার কাছে এলেই মুখ বেজার হয়ে আছে।
-কারণ তোমার কাছেই আশাটা সবচেয়ে বেশি করি। তাই তোমার দেওয়া সামান্য কষ্টও অনেক মনে হয়।
-আর আমার কষ্ট? আমি যে তোমাকে ছাড়া থাকতে পারছি না, তুমি বুঝতে পারো সেটা? তোমার কোন আশা আমি অপূর্ণ রেখেছি? বলো আমাকে...
-থাক, সে বলে লাভ নেই। বৌয়ের হয়ে চারটে কথা বলতে হলে ঘরের বাইরেও বলার চেষ্টা করবে। ঐ ঘরে আগল দিয়ে দুটো ভালোবাসার কথা বললেই ভালোবাসা যায় না। সেই যে, বিয়ের আগে.... বাপ রে বাপ! কী না করত আমার জন্য! কারও আর জানতে বাকি নেই উনি আমাকে ভালোবাসেন! উত্তরা উত্তরা করে যেন একেবারে পাগল হয়ে গেছেন! যত্নের ঠেলায় মাথা খারাপ হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা। তখন মনে হতো, এ তো মানুষের সঙ্গে প্রেম করছি না, যেন সাক্ষাৎ ভগবান!
-তখন যত্ন করতাম, এখন আমি তোমার অযত্ন করি? তুমি এই কথাটা বলতে পারলে উত্তরা?
-অঙ্কন ঘুমাতে দেবে? না মার খাবে? ছাড়ো, দম আটকে আসছে...
-তোমাকে ঘুমোতে দেওয়ার থেকে সেকেন্ড অপশনটা বেটার।
-ওহ ভগবান! জ্বালিয়ে খেলো!
-আমিই তো ভগবান! একটু আগে বললে যে সাক্ষাৎ ভগবানের সঙ্গে প্রেম করেছ। জ্বালিয়ে খেলাম মানে কী? খাওয়ার সুযোগ পেলাম কোথায়? তা ভগবানকে যখন এত মন দিয়ে ডাকাডাকি করছ, সে কি আর সাড়া না দিয়ে থাকতে পারে! তার ধ্যান ভাঙতে বাধ্য! ভগবান হাজির! তোমার ভগবানকে তুষ্ট করার জন্য তুমি প্রস্তুত তো? উম...
অঙ্কনের অস্থির হস্ত সঞ্চালনের ফলে চাপা হাসিতে ফেটে পড়ল উত্তরা। ওর পাগলামো সামলাতে না পেরে উত্তরা অঙ্কনের গলা জড়িয়ে ধরে বলল,
-অঙ্কন প্লিজ...
-উফ! কেন? প্রত্যেকবার এভাবে বাধা দাও কেন? সমস্যাটা কী? তুমি চাও না?
-চাই, কিন্তু এখনই না.... আমি তৈরি না অঙ্কন। প্লিজ বোঝার চেষ্টা করো। এক কথা কতবার বলব?
-আর কত বছর লাগবে তোমার নিজেকে তৈরি করতে? মা হতে গেলে এত রিহার্সাল দিয়ে তৈরি হতে হয় বুঝি? তাকে একবার আসতে দাও। সে তোমার কোলে এলে তুমি সবকিছু নিজে থেকে শিখে যাবে। কোনও মেয়েকে মাতৃত্ব শেখাতে হয়?
উত্তরা চুপ করে রইল। অঙ্কন আদরমাখা কণ্ঠে বলল,
-সবসময় তোমার সঙ্গে আমি আছি, তোমার মা আছেন। কিচ্ছু অসুবিধা হবে না। প্লিজ উত্তরা.... আমি খুব ডেসপারেটলি চাই, আমাদের মধ্যে সে আসুক। প্লিজ...
উত্তরার দেহের প্রতিটি বাঁকের মতো এই স্তব্ধতার অর্থ অঙ্কন খুব ভালোভাবে বোঝে। ও আর কিছু বলল না। দীর্ঘশ্বাস ফেলে উত্তরার ঠোঁটে গভীরভাবে চুমু খেয়ে বিছানা ছেড়ে উঠে ড্রয়ার খুলল...
(চলবে...)
ছবি : সংগৃহীত এবং প্রতীকী